আজকের দিনে ইন্টারনেট এর গুরুত্ব আমাদের সবারই জানা ।
ইন্টানেটের মাধ্যমে আমাদের ডিভাইস সমুহ পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকে
এবং ডেটা আদান প্রদান করে । কিন্তু, Iot বা Internet of Things মানে কি । মূল ধারার ইন্টারনেটের সাথে এর পার্থক্য কি?
IoT vs …
IoT এর আক্ষরিক অনুবাদ করলে দাড়ায় “বস্তুদের ইন্টারনেট”
এর ভাবানুবাদ অনেকটা এরকমই । মুল ধারার ইন্টারনেটের সাথে IoT এর
পার্থক্য হল মানুষের অনুপস্থিতি । অর্থৎ IoT সিস্টেমে ডিভাইস সমুহ
অটোমেটিক ডাটা ট্রান্সফার ও ডাটা প্রসেস করে থকে ।
একটা সহজ উদাহরন দেয়া যাক :
অনেকে হয়ত স্মার্ট হোম এর নাম শুনে থাকবেন । হয়ত ভাল হবে যদি
রাতে ঘুমানোর সময় রুমের লাইট অটোমেটিক অন অফ হত ! বা ধরেন আমার মত
হ্যাংলার(!?) লাইফ স্টাইল যদি কোন অ্যাপের মাধ্যমে বাড়ি,রাস্তায় বা
গাড়িতে ট্র্যাক রাখা যায় এর চেয়ে ভাল আর কি হতে পারে ? এই কাজটাই করা
হয় IoT এর মাধ্যমে । ধরেন আপানি একটি স্মার্ট ওয়াচ পরে রাস্তায় হাটতে
বেরোলেন । এখন সে যা করবে তা হল সে তার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে আপনার প্রতিটি ফুটস্টেপ ও ব্লাড প্রেশার ট্রাক করবে । আবার ধরেন আপনার ঘড়িটি আপনার স্মার্ট ফোন এ সংযুক্ত যা আবার আপনার রুমের স্মার্ট হোম এসিস্টেন্ট (যেমন :গুগল হোম)
এর সাথে যুক্ত । ধরেন গুগল হোম জানে আপনাকে সকাল ০৯:০০ এ একটা কাজ
করতে হবে । এখন আপনি হাটতে হাটতে ০৮:০০ বাজিয়ে দিলেন । সো , এখন
আপনাকে ঘরে ফিরতে হবে ।
কি হবে এখন ,
- গুগল হোম আপনাকে জানাবে আপনার ঘরে ফেরার সময় হয়েছে ।
- সে জানে আপনি হেটে এসেছেন ও আপনা ব্লাড প্রেশার বেড়ে আসে ।
- তাই সে আপনার বিশ্রাম নেওয়ার জন্য স্মাট ইউটিলিটি গুলোকে চালু করে দিবে ।
- যদি ঘরে কোন রোবট থাকে তাকে দিঢে রান্না করাবে ।
- আপনি কাজে বেরিয়ে গে সে বাসার ডিভাইস সমুহকে বন্ধ করে দিবে
Iot এর উপাদান সমুহ
-
বুঝতে পারা: IoT কর্মপদ্ধতি প্রথমটি হল কি ঘটছে তা বুঝতে পারা ।যেমন ঘড়িটি বুঝতে পেরেছিল আপনি হাটছেন ।
-
যোগাযোগ: IoT এ ইন্টারেস্টিং একটা
পার্ট । এইধাপে IoT ডিভাইস গুলো পরস্পরের সাথে ক্লাউড সার্ভিস
ব্যবহার করে যোগাযোগ রক্ষা করে । যেমন : আপনার ঘড়িটি ,স্মার্ট হোম
ডিভাইসকে জানিয়ে ছিল -
ক্লাউড বেসড ডাটা ক্যাপচার বা এনালাইসিস: এটা
হল ডাটা প্রক্রিয়করন সিস্টেম । ধরেন, আপনার কোন স্মার্ট গ্লাস আছে
যার প্রসেসিং ইউনিট বেশি উন্নত না কিন্তু সে ইন্টারনেটে থাকতে পারে ।
এর মাধ্যমে আপনি জানতে চান যে আপনি যা দেখছেন তা আসলে কি ? এখন
আপনি কি করবেন? আপনি প্রোগ্রাম করে দিবেন যাতে আপনার
গ্লাসটি ফোটো ফ্রেম গুলোকে শক্তিশালি কম্পিউটিং সিস্টেমে যেমন :
Google Vision, Microsoft Azure বা Amazon AWS এ পাঠায় । এখানে আপনার
ডাটা প্রসেস করা হবে ও আউটপুটে বস্তুটির নাম দেয়া হবে । -
ব্যবহার কারির সাথে যোগাযোগ: এই
ধাপে স্মার্ট ডিভাইস আপনাকে জানাবে কি ঘটতে চলেছে । যেমন আপনার ঘরে
ফিরতে হবে বা আপনার সামনের লোকটি কোন কারনে ক্ষেপে গিয়েছে
ইত্যাদি ইত্যাদি ।
IoT কি করতে পারবে ?
- আপনার ব্যক্তিগত(!) বিষয়গুলো দেখভাল করতে পারবে ।
- আপনার প্রাত্যহিক জীবন সহজ করে দিবে ।
বোঝা যাচ্ছে ভবিষ্যতের মডার্ন পৃথিবীতে IoT এর
প্রধান্য থাকবে । তাই ঐসময় যে IoT ডেভলপ করতে জানবে তার কদরও থাকবে
অনেক । বিশ্বের অনেক দেশে IoT কে আলাদা বিষয় হিসেবে পড়ানো হয় ।টেক
জয়ান্ট যেমন Google,Amazon,Apple,Samsung,IBM(Microsoft) তাদের IoT
সার্ভিস নিয়ে কাজ করছে । তাই আমরা আর শুধু শুধু পেছনে পরে থাকব কেন?